জি এম অভি
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার সম্পাদনা সহকারী আশিকুল আলম সবুজকে ‘স্কয়ার কোম্পানির গাড়িচাপায় হত্যার’ প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সবুজের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুরে স্কয়ার কোম্পানির ডিপো’র সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে সবুজ ‘হত্যার’ বিচার ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। গত বছর ৯ ডিসেম্বর রাতে শহরের বকচর এলাকায় তাকে চাপা দিকে ‘হত্যা করে’ স্কয়ার কোম্পানির একটি গাড়ি।
সবুজের শ্বশুর মোহাম্মদ চাঁনমিয়া জানান, গত ৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ি নীলগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে সমাজের কথা পত্রিকা অফিসে যাচ্ছিলেন আশিকুল আলম সবুজ (৩৫)। শহরের বকচর কোল্ড স্টোর মোড়ের অদূরে পৌঁছানোর পর স্কয়ার কোম্পানির একটি কাভার্ড ভ্যান দ্রুত গতিতে সবুজের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা ধাওয়া করলেও কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করতে পারেননি। দুর্ঘটনার পর আহত সবুজকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হয় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী নূরজাহান আক্তার ঝলক।
এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে এলাকাবাসী ও স্বজনরা বুধবার দুপুরে ঝুমঝুমপুরে স্কয়ার কোম্পানির ডিপোর সামনে অবস্থান নেন। ঘণ্টাব্যাপি সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন, যশোর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সমাজের কথা’র বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, সবুজের শ্বশুর মোহাম্মদ চাঁনমিয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিটন হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ জনি, ফতেপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হালিম বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশ থেকে দ্রুত সবুজ ‘হত্যার’ বিচার এবং সবুজের অসহায় পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। পরে স্বজনরা স্কয়ার কোম্পানির ডিপোতে কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (অডিট) তাহের উদ্দিনের সাথে দেখা করেন এবং একটি স্মারকলিপি দেন।