৩ রাষ্ট্রপতির ছেলে নির্বাচনী মাঠে

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের তিনটিতেই এবার আওয়ামী লীগের টিকিটে লড়ছেন বর্তমান ও সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির ছেলে।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় তার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
চারবারের এমপি সৈয়দ আশরাফকে মোকাবেলায় লড়ছেন ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির প্রার্থী সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জাজ ও জাজেজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. রেজাউল করিম খান চুন্নুসহ আরও তিন প্রার্থী লড়ছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি। তিনি এ আসন থেকে উপনির্বাচনসহ পরপর দুই দফায় এমপি হন।
এ আসনে বিভিন্ন দলের আরও তিনজন প্রার্থী থাকলেও তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান।
এ আসনেও সরকারি ও বিরোধী দলের প্রার্থীরা যে যার মতো নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকার প্রার্থী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের ছেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন।
তিনবারের এই এমপির বিরুদ্ধে পাঁচ প্রার্থী লড়লেও এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ঐক্যফ্রন্টের আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরীফুল আলম।
কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে এ আসনে নির্বাচনী সহিংসতা লেগেই আছে। ক্রমেই নির্বাচনী পরিবেশে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই এ আসনে বিএনপি নেতাকর্মী, তাদের কার্যালয় ও সভা-সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতায় এসব হামলার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হামলায় বিএনপিদলীয় প্রার্থীসহ অন্তত ৭০-৮০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এসব ঘটনার পর উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।
তিনি দাবি করেছেন, তার পক্ষে গণজাগরণ দেখে প্রতিপক্ষ বেসামাল হয়ে পুলিশকে ব্যবহার করে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে এসব করেও ধানের শীষের বিজয় ঠেকানো যাবে না বলে দাবি শরিফুলের।
অভিযোগ অস্বীকার করে পাপনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতা কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান যুগান্তরকে বলেছেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এসব হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।

Please follow and like us: